উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩/০২/২০২৪ ৯:১২ পিএম

বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সরল জীবনের এক মনোমুগ্ধকর অধ্যায় রচিত হলো। ৭২ জোড়া বর-কন, যৌতুকের বেড়াজাল ছিন্ন করে, ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নতুন জীবন শুরু করলো। শনিবার সকাল থেকে টঙ্গী শহর এবং ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর ।

কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এজন্য সকাল থেকে অভিভাবকরা হবু দম্পতির নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে সব নব দম্পতির সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়।

ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বাদ আসর ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান এই বিয়ে পড়ান। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।

বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করার। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকলের কাছে নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।

পাঠকের মতামত

চাঁদাবাজিতে জড়িত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে-তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্যায়কারী যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত ...

হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখে তেড়ে এল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ...